শিমরাইলে হাইওয়ে পুলিশের সামনেই চলছে মহাসড়কে অবাধে নিষিদ্ধ থ্রীহুইলার ও রুট পারমিট বিহীন বাসের ষ্ট্যান্ড, রয়েছে দোকানপাট ব্যাপক বিশৃঙ্খলা
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
ঢাকা – চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের চোখের সামনেই অবাধে চলাচল করছে সহস্রাধিক ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, সিএনজি, ও লেগুনা৷ কাচপুর থেকে শিমরাইলে এবং শিমরাইল থেকে কাচপুরে অহরহ চলাচল করছে ইজিবাইক ও সিএনজি৷ হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকী লোক দেখানো মামলা করেন৷
মহাসড়কজুড়ে গড়ে উঠেছে রুট পারমিট ও বৈধ কাগজপত্র বিহীন মনজিল, বন্ধু, রজনীগন্ধা, শ্রমিক পরিবহন, নাফ পরিবহন, চিটাগাংরোড পরিবহন, শিমরাইল পরিবহন, নীলাচল, সময়, কোমলসহ আরও অনেক পরিবহন, এবং নিষিদ্ধ লেগুনা, সিএনজির ষ্ট্যান্ড৷ এসকল বাস মিনিবাস মহাসড়কজুড়ে এলোমেলোভাবে ষ্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে অথচ হাইওয়ে পুলিশ এসবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করে ওই সকল পরিবহন মালিক ও লাইনম্যানদের এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার ভাইজারদের শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প চুপি চুপি ডেকে নেন টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকী৷ সেখানেই হচ্ছে তার সাথে রফাদফা৷
টিআই আবু নাঈম ওই সকল যানবাহন এর সংশ্লিষ্টদের সাবধান বানী ও সতর্ক করে দেন কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা সংবাদকর্মী কেউ যাতে না জানে তার সাথে লেনদেনের বিষয়টি৷ অবৈধ ওই সকল যানবাহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য টিআই আবু নাঈমের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলছেন৷
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক বিভাগ মহাসড়কে গত বুধবার থেকে ডিউটি শুরু হওয়ায় হাইওয়ে পুলিশের টিআই আবু নাঈমের মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে৷ জেলা ট্রাফিকের টিআই ও সার্জেন্টরা শিমরাইলে গত বুধবার থেকে ডিউটি শুরুতেই শিমরাইলের চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করেছে৷ যেটা হাইওয়ে পুলিশের টিআই আবু নাঈম গত দু মাসেও পারেননি৷ অভিযোগ রয়েছে, টিআই আবু নাঈম কাচপুর থানায় ছিলেন৷
সেখানে গড়ে তুলেন ১০-১২ জনের একটি দালাল চক্র৷ এরাই মূলত টিআই নাঈমকে কোন গাড়ী মামলা দিতে হবে কোনটা বাদ দিতে, এবং ইজিবাইক উল্টাপথে চলাচল সকল বিষয়ে তার সোর্সরা নিয়ন্ত্রণ করে৷ মহাসড়কে সে চাদাবাজ সোর্স নিয়ে ঘুরে বেড়ায়৷ মহাসড়কের শিমরাইলের দক্ষিনপাশে হযরলব অবস্থা বিরাজ করছে৷ মনজিল, সিএনজি, কোমল, সময়, রজনীগন্ধা, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহন মহাসড়কজুড়ে ওভারব্রিজের নিচে রাখার কারনে আদমজীরোড থেকে যানবাহন ঢাকার দিকে যেতে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়, অথচ সেখানেই হাইওয়ে পুলিশ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি দেখছেনা৷
সারা দিনের মধ্যে ১ ঘন্টার বেশী হাইওয়ের টিআই নাঈম মহাসড়কে থাকেন না৷ বেশীরভাগ সময় পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে পুলিশ ক্যাম্পে বসে মাসেয়ারা কিভাবে আদায় করা যায় সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়৷ শিমরাইলমোড়ে মহাসড়কের ওপর রেন্টএ কার বসানো হয়েছে, মহাসড়ক জুড়ে বন্ধু পরিবহন স্ট্যান্ড রয়েছে এসকল পরিবহনের সাথে টিআইর আর্থিক লেনদেন থাকায় এসকল পরিবহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ব্যাপক অবনতি হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম ও সোহরাব হোসেন জানান৷ হিরাঝিলের সমাজসেবক আব্দুল লতিফ ও মোঃ মাহবুব আলী বলেন, ব্যস্ততম শিমরাইল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা এই টিআই আবু নাঈমের দ্বারা সম্বভ নয়৷
কারন টিআই নিজে মহাসড়কের দক্ষিনপাশে পাচশতাধিক দোকানপাট বসিয়েছেন স্থানীয় কতিপয় চাদাবাজদের সঙ্গে নিয়ে৷ মহাসড়কের উত্তরপাশেও দোকানপাট বসিয়েছেন৷ যার কারনে এই বিতর্কিত টিআইর দ্বারা মহাসড়কের গুরুত্বপগর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে মনে করেন৷
যাটোর্ধো আব্দুর রহমান বলেন শিমরাইলে এত বিশৃঙ্খলা হাওওয়ে পুলিশ এসকল দেখেও না দেখার ভান করে , তিনি টিআই আবু নাঈমের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অকর্মা টিআইকে শিমরাইল থেকে অন্যত্র সরিয়ে একজন সিনিয়র টিআই দিয়ে শিমরাইল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে বলে তিনি মনে করেন৷
আপনার মতামত লিখুন :