সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসিতে ঘুষ বাণিজ্য ও হয়রানির অভিযোগ, কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিদ্ধিরগঞ্জের বিদ্যুৎ অফিস ডিপিডিসিতে ঘুষ বাণিজ্য ও বিভিন্ন ধরনের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ভূতুড়ে বিল সহ মিটার পাস থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করতে হলে বিদ্যুৎ অফিসে দিতে হয় মোটা অংকের ঘুষ। চাহিদা মত ঘুষ না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বিদ্যুতের সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির কয়েকজন অসৎ কর্মকর্তা ঘুষ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। তারা বিভিন্ন বিদ্যুতের ফাইল পাস করে দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সরকার পতন হওয়ার পর সব জায়গায় রদবদল হলেও সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির অসাধু কর্মকর্তারা রয়েছেন বহাল তোবিয়তে। তবে নিজ দপ্তরের কর্মচারী ও বিদ্যুৎ সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের বেশিরভাগ হয়রানি করছেন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন। প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন তার অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিপিডিসির কয়েকজন ব্যক্তি জানান। তিনি টাকা ছাড়া কোন ফাইল সই করেন না। নিয়মের মধ্যে বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে থাকলেও প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেনকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় বলে জানান কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যুৎ সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যক্তি জানায়, নাসিক ২ নং ওয়ার্ডে একটি কার্টুন ফ্যাক্টরিতে বিদ্যুতের একটি লাইন পাশ করানো হয়। পরবর্তীতে কার্টুন ফ্যাক্টরিটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরি করা হয়। তখন লাইনটির বিষয়ে তদারকি করেন বেলায়েত হোসেন। বেলায়েত হোসেনকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগটি ঠিক করিয়ে নেন।
এদিকে ডিপিডিসির আইটি সেন্টারের সুজনকে ফাইল প্রতি ৪০০ টাকা করে দিতে হয় বলে জানা যায়। সুজনকে টাকা না দিলে তিনি কোন কাজই করেন না। সুজনের ঘুষ বাণিজ্যের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তাদেরই স্টাফরা। সুজন দীর্ঘ ১২ বছর সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসিতে কর্মরত রয়েছেন।
সরকারি একজন চাকরিজীবী লোক কিভাবে এত বছর ডিপিডিসিতে রয়েছেন এমন প্রশ্ন মুঠোফোনে ডিপিডিসি নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারীকে করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উক্ত বিষয় জানতে প্রকৌশলী মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা করা সম্ভব হয়নি।
এ দিকে এলাকাবাসী জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসিতে ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয় না। তারা বিভিন্নভাবে টাকার জন্য আমাদের হয়রানি করছে। ভুতুড়ে বিল, মিটার পাস, এসটি লাইন পাস করাতে হলে তাদেরকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হবে। ঘুষ না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের হয়রানি করছে। তাই উক্ত অসাধু কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় ছাত্র জনতাকে নিয়ে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করার হুমকি দেন এলাকাবাসী।
উক্ত অসাধু কর্মকর্তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :