৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী : ‘জাতীয় কবি’র গেজেট না করা শাসকগোষ্টির ব্যার্থতা : বাংলাদেশ ন্যাপ


sohel Rana প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৬, ২০২২, ৬:০১ পূর্বাহ্ন / ৭১
৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী : ‘জাতীয় কবি’র গেজেট না করা শাসকগোষ্টির ব্যার্থতা : বাংলাদেশ ন্যাপ

 

৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী :
‘জাতীয় কবি’র গেজেট না করা শাসকগোষ্টির ব্যার্থতা : বাংলাদেশ ন্যাপ

 নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ  আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাম উচ্চারণ করলেও প্রকৃত অর্থে দু:খজনক হরেও সত্য যে, সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক দলিলপত্রে জাতীয় কবি হিসেবে তাঁর নাম নেই বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীনতা ৫০ বছর পরও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসাবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ না করা শাসকগোষ্টির চরম ব্যার্থতা।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তারা উপরোক্ত কথা বলেন।

তারা বলেন, জাতীয় পর্যায়ে ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আয়োজনে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে লেখা হলেও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, জাতীয় আর্কাইভ, নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমির কোথাও নজরুলকে জাতীয় কবি ঘোষণা করা সংক্রান্ত সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন বা অন্য কোনো দলিল পাওয়া যায়নি। যা জাতি হিসাবে অত্যান্ত লজ্জাজনক। লোকমুখে প্রচারিত তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি, কাগজে-কলমে প্রাতিষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে নন।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিভিন্ন সরকারি আয়োজনে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখও করা হয়। কিন্তু সবই পরোক্ষ স্বীকৃতি। এমন স্বীকৃতি কালের পরিবর্তনে মুছে যেতে পারে। আগামীর প্রজন্ম একদিন হয়তো না-ও জানতে পারে যে, আমাদের জাতীয় কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম।

তারা আরো বলেন, আমাদের জাতীয় প্রেরনার উৎস কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালীদের শ্রেষ্ঠ সম্পাদ। তিনি আমাদের রেনেসার অগ্রদূত ও ঐতিহ্যের রুপকার। তিনি আমাদের ইতিহাসের অংশ। ইতিহাস ও জাতীয় স্বীকৃতি কখনো অলিখিত থাকতে পারে না। অলিখিত ইতিহাস ও তথ্য সময়ের বিবর্তনে বিলিন হয়ে যায়।

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসাবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে বলেন, কাজী নজরুল আমাদের জাতিসত্তার অন্যতম রুপকার। স্বাধীনতার পথিকৃত, সামনে চলার প্রেরণা। যার রচনা আমাদের পথ দেখায়, অনাচার-অত্যাচার, জুলুম-পীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হতে আহ্বান জানায়।

তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের যাদুময় প্রেরণা থেকে বঞ্চিত হলে আমরা মনের আজান্তেই সমস্ত অর্জনকে বিসর্জন দিয়ে কাঙাল হয়ে পড়বো আমরা। যারা কাঙাল হতে আগ্রহী কিংবা বাঙাল সেজে পরের দুয়ারে ভিখ মাগে তাদের কথা আলাদা। আমরা চাই জনম জনম ধরে কবি নজরুলের কীর্তির পরশ নিয়ে ধন্য হতে।